শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি
- আপডেট সময় : ০১:১৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন। এ মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার পর্য।ন্ত মুলতবি
মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার শুনানি চলে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানি করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ জুলাই শুনানি করবেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এদিন অভিযোগ গঠন বিষয়ে বক্তব্য দিতে চাননি সাবেক আইজিপির আইনজীবী।
আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার শুনানি বিটিভিতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
এদিন সকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে, ২৪ জুন এ মামলায় পরবর্তী শুনানি আজকের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
১৬ জুন এ মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। ১ জুন শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় বর্তমানে গ্রেফতার রয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এখনও পলাতক।
এ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন।









