ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে তারেক রহমান-ফখরুলের শোক সৌদির ওপর দিয়ে দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফেজ মোঃ মইনুদ্দিন Jubo Dal leader Liton leads Jubo Dal protest march in Patuakhali দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে ঢাবি ছাত্রদল বিচার ব্যবস্থাকে দৌড়গোড়ায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: ডা. তাহের জামিনে বের হওয়ার ৪ মাস পর ফের গ্রেফতার ‘টুন্ডা বাবু’ শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ নেতা কাজী ওয়াহিদ হচ্ছেন রূপালী ব্যাংকের এমডি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এমনি এমনি আসেনি। প্রায় দুই হাজার শহীদের আত্মত্যাগ এবং ১৮ হাজারের বেশি আহত মানুষ, যাদের অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন এই সবকিছুর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের জুলাই বিপ্লব। এই বিপ্লব শুধু ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়া নয়, এটি একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের ভিত্তি গড়ে তোলা। কিন্তু আজ, মাত্র চার মাস পর, আমরা কি সেই স্বপ্ন ভুলতে বসেছি? ব্যাংকিং খাত ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ গংদের আর্শিবাদ পুষ্ট ফ্যাসিবাদের সহযোগি রূপালী ব্যাংক ইউনিট ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ’-এর সহ- সভাপতির কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংক কে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ । তিনি রূপালী ব্যাংকে কর্মরত থাকালীন বিভিন্ন শাখায় শাখা প্রধান ও ২য় কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন । রূপালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকায় শাখা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন না করার পরও সহকারী মহাব্যবস্থাপক কর্মরত অবস্থায় ডিএসএল সোয়াটারকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে শাখা প্রধানকে সহযোগিতা করেন । অবৈধ এই সহযোগিতার জন্য ঋণটি ঝুঁকিপূর্ণ । আরও উল্লেখ্য যে, উক্ত ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে যা ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল কাজ ছিল । ঋণটি শ্রেনীকৃত আদায় অনিশ্চিত । যা বিভিন্ন অভ্যন্তরীন ও বানিজ্যিক অডিট আপত্তি তে উঠে এসেছে। তার একক অধিপত্য নিয়ে ঋণের কাজ করলেও তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকরা আজ পেনশন না পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন ফ্লোরে ঘোরাঘুরি করছেন। তাছাড়া উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসাবে বৈদেশিক বানিজ্য কর্পোরেট শাখা, ঢাকায় শাখা প্রধান হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন বিতরন কৃত সকল ঋণই খেলাপী ও আদায় অযোগ্য। যা বানিজ্যিক অডিট ও ব্যাংকের অডিট আপত্তিতে উঠে এসেছে। তাছাড়া মহাব্যবস্থাপক হিসাবে বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম এ কর্মরত থাকাকালীন এসআলম এর বিভিন্ন ভৌতিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছেন। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক গুলো রক্ষা করতে হলে আওয়ামীলীগের দোসর, দুর্নীতিবাজ, সুযোগ-সুবিধাভোগী এবং অসৎ কর্মকর্তাদের পুনঃ বহাল করার ফলে ‘ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে যাচ্ছে । কি পেলাম ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন স্বাধীনতায় বিবেকের কাছে প্রশ্নই থেকে যাবে সকলের, আসলেই কি ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে? তাহলে যাদের আত্মত্যাগে গণঅভ্যুত্থান হলো তাদের আত্মার কাছে কি জবাব দিবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ নেতা কাজী ওয়াহিদ হচ্ছেন রূপালী ব্যাংকের এমডি

আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এমনি এমনি আসেনি। প্রায় দুই হাজার শহীদের আত্মত্যাগ এবং ১৮ হাজারের বেশি আহত মানুষ, যাদের অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন এই সবকিছুর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের জুলাই বিপ্লব। এই বিপ্লব শুধু ফ্যাসিবাদের শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়া নয়, এটি একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের ভিত্তি গড়ে তোলা। কিন্তু আজ, মাত্র চার মাস পর, আমরা কি সেই স্বপ্ন ভুলতে বসেছি? ব্যাংকিং খাত ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ গংদের আর্শিবাদ পুষ্ট ফ্যাসিবাদের সহযোগি রূপালী ব্যাংক ইউনিট ‘বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ’-এর সহ- সভাপতির কাজী মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোনালী ব্যাংক কে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ । তিনি রূপালী ব্যাংকে কর্মরত থাকালীন বিভিন্ন শাখায় শাখা প্রধান ও ২য় কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন । রূপালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকায় শাখা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন না করার পরও সহকারী মহাব্যবস্থাপক কর্মরত অবস্থায় ডিএসএল সোয়াটারকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে শাখা প্রধানকে সহযোগিতা করেন । অবৈধ এই সহযোগিতার জন্য ঋণটি ঝুঁকিপূর্ণ । আরও উল্লেখ্য যে, উক্ত ঋণের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে যা ফ্যাসিস্ট সরকারের মূল কাজ ছিল । ঋণটি শ্রেনীকৃত আদায় অনিশ্চিত । যা বিভিন্ন অভ্যন্তরীন ও বানিজ্যিক অডিট আপত্তি তে উঠে এসেছে। তার একক অধিপত্য নিয়ে ঋণের কাজ করলেও তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকরা আজ পেনশন না পেয়ে প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন ফ্লোরে ঘোরাঘুরি করছেন। তাছাড়া উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসাবে বৈদেশিক বানিজ্য কর্পোরেট শাখা, ঢাকায় শাখা প্রধান হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন বিতরন কৃত সকল ঋণই খেলাপী ও আদায় অযোগ্য। যা বানিজ্যিক অডিট ও ব্যাংকের অডিট আপত্তিতে উঠে এসেছে। তাছাড়া মহাব্যবস্থাপক হিসাবে বিভাগীয় কার্যালয়, চট্টগ্রাম এ কর্মরত থাকাকালীন এসআলম এর বিভিন্ন ভৌতিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছেন। রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক গুলো রক্ষা করতে হলে আওয়ামীলীগের দোসর, দুর্নীতিবাজ, সুযোগ-সুবিধাভোগী এবং অসৎ কর্মকর্তাদের পুনঃ বহাল করার ফলে ‘ছাত্র-জনতার আত্মাহুতির মাধ্যমে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা দুর্নীতিবাজদের হাতে চলে যাচ্ছে । কি পেলাম ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন স্বাধীনতায় বিবেকের কাছে প্রশ্নই থেকে যাবে সকলের, আসলেই কি ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে? তাহলে যাদের আত্মত্যাগে গণঅভ্যুত্থান হলো তাদের আত্মার কাছে কি জবাব দিবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।