ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে তারেক রহমান-ফখরুলের শোক সৌদির ওপর দিয়ে দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফেজ মোঃ মইনুদ্দিন Jubo Dal leader Liton leads Jubo Dal protest march in Patuakhali দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে ঢাবি ছাত্রদল বিচার ব্যবস্থাকে দৌড়গোড়ায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: ডা. তাহের জামিনে বের হওয়ার ৪ মাস পর ফের গ্রেফতার ‘টুন্ডা বাবু’ শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার কারো নেই: মো. জহিরুল ইসলাম কলিম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৩ মিনিটের বিল এনে সংসদে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন। এদিনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র তথা মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয় এবং চারটি ছাড়া সকল সংবাদপত্রকে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ কালো দিবস উপলক্ষে জাগ্রতহ বাংলাদেশের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম।

অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি কালাম ফয়েজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ শাহ, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো. মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সদস্য মেহেদী হাসান, নূরে জান্নাত প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার কারো নেই। সংস্কার কমিটি কেবল সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারে। কিন্তু সংস্কার কমিটি যে সংশোধনের কথা বলে কালক্ষেপণ করছে সেটা অনৈতিক। এখন প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন। কারণ দেশের তরুণ প্রজন্ম জীবনে একবারও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ভোট দিতে পারেনি।

জনাব মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। বর্তমানে উপদেষ্টাগণ জাতীয় দায়িত্ব পালন রেখে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সে দলের মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে আজেবাজে কথা বলছেন, যেটা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি তাদের সাবধানে কথা বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন আপনারা ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দিন। নির্বাচন দিয়ে কোন তালবাহানা জনগণ বরদাস্ত করবে না।

১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেন। আমরা এদিনকে কালো দিবস হিসেবে পালন করি। আমরা আরেকটা কালো দিবস পালন করতে চাই না। যদি নির্বাচন নিয়ে কোন চক্রান্ত হয় তাহলে বিএনপি দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

তিনি প্রফেসর ইউনূসের উদ্দেশ্যে বলেন আপনি নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকা মার্জনা করেছেন। আপনি যতদ্রুত সম্ভব ট্যাক্সের টাকা ফেরত দিবেন।

প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী বলেন, আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস। কিন্তু আমার জানামতে বাংলাদেশের আর কোথাও এ দিবস পালিত হচ্ছে না। জাগ্রত বাংলাদেশ এ আয়োজন করায় সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন জুলাই বিপ্লব আজই প্রথম নয়, ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লব হয় এবং এ বিপ্লবের ফলে বাস্তিল দূর্গের পতন ঘটে। ১৪ জুলাই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাকেই জুলাই বিপ্লব বলা হয়। বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বিপ্লবটা ৫ আগস্টে ঘটলেই একে জুলাই বিপ্লব বলা হয়। এ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য। যদি অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের সেই আকাঙ্খা পূরণ করতে না পারেন তাহলে সেটা হবে তাদের ব্যর্থতা। আমরা এ সরকারের ব্যর্থতা দেখতে চাই না।

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা যখন চেপে ধরেছিল এবং মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছি তখন আমরা ছাড়া তার পক্ষে কথা বলার কেউ ছিল না। কিন্তু দূর্ভাগ্য হল- তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন, কিন্তু আমরা তার সঙ্গে একবারও দেখা করতে পারিনি। মনে হয় তিনি তথাকথিত গোষ্ঠি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। তারপরও আমরা চাই তিনি সফল হোন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার কারো নেই: মো. জহিরুল ইসলাম কলিম

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

আজ ২৫ জানুয়ারি বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৩ মিনিটের বিল এনে সংসদে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন। এদিনে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্র তথা মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয় এবং চারটি ছাড়া সকল সংবাদপত্রকে নিষিদ্ধ করা হয়।

এ কালো দিবস উপলক্ষে জাগ্রতহ বাংলাদেশের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্বে করেন জাগ্রত বাংলাদেশ’র সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিম।

অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি কালাম ফয়েজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, জাগ্রত বাংলাদেশ’র সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ শাহ, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মো. মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, বৈষম্য প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের সদস্য মেহেদী হাসান, নূরে জান্নাত প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, সংসদ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার কারো নেই। সংস্কার কমিটি কেবল সংশোধনের প্রস্তাব করতে পারে। কিন্তু সংস্কার কমিটি যে সংশোধনের কথা বলে কালক্ষেপণ করছে সেটা অনৈতিক। এখন প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচন। কারণ দেশের তরুণ প্রজন্ম জীবনে একবারও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ভোট দিতে পারেনি।

জনাব মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। বর্তমানে উপদেষ্টাগণ জাতীয় দায়িত্ব পালন রেখে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও সে দলের মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে আজেবাজে কথা বলছেন, যেটা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি তাদের সাবধানে কথা বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন আপনারা ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন দিন। নির্বাচন দিয়ে কোন তালবাহানা জনগণ বরদাস্ত করবে না।

১৯৭৫ সালের এই দিনে শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেন। আমরা এদিনকে কালো দিবস হিসেবে পালন করি। আমরা আরেকটা কালো দিবস পালন করতে চাই না। যদি নির্বাচন নিয়ে কোন চক্রান্ত হয় তাহলে বিএনপি দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

তিনি প্রফেসর ইউনূসের উদ্দেশ্যে বলেন আপনি নিজের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকা মার্জনা করেছেন। আপনি যতদ্রুত সম্ভব ট্যাক্সের টাকা ফেরত দিবেন।

প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী বলেন, আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস। কিন্তু আমার জানামতে বাংলাদেশের আর কোথাও এ দিবস পালিত হচ্ছে না। জাগ্রত বাংলাদেশ এ আয়োজন করায় সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন জুলাই বিপ্লব আজই প্রথম নয়, ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লব হয় এবং এ বিপ্লবের ফলে বাস্তিল দূর্গের পতন ঘটে। ১৪ জুলাই এ ঘটনা ঘটেছে বলে তাকেই জুলাই বিপ্লব বলা হয়। বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বিপ্লবটা ৫ আগস্টে ঘটলেই একে জুলাই বিপ্লব বলা হয়। এ বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটাধিকারের জন্য। যদি অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের সেই আকাঙ্খা পূরণ করতে না পারেন তাহলে সেটা হবে তাদের ব্যর্থতা। আমরা এ সরকারের ব্যর্থতা দেখতে চাই না।

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা যখন চেপে ধরেছিল এবং মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছি তখন আমরা ছাড়া তার পক্ষে কথা বলার কেউ ছিল না। কিন্তু দূর্ভাগ্য হল- তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন, কিন্তু আমরা তার সঙ্গে একবারও দেখা করতে পারিনি। মনে হয় তিনি তথাকথিত গোষ্ঠি দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। তারপরও আমরা চাই তিনি সফল হোন।