ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে তারেক রহমান-ফখরুলের শোক সৌদির ওপর দিয়ে দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফেজ মোঃ মইনুদ্দিন Jubo Dal leader Liton leads Jubo Dal protest march in Patuakhali দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে ঢাবি ছাত্রদল বিচার ব্যবস্থাকে দৌড়গোড়ায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: ডা. তাহের জামিনে বের হওয়ার ৪ মাস পর ফের গ্রেফতার ‘টুন্ডা বাবু’ শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

রাজউকের পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানার অনুমোদন নিয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অনুমোদনকে ঘিরে জনমনে তীব্র উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সহায়তায় এবং রাজউকের নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে অবৈধ উপায়ে বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারী নামে একটি কারখানার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণভাবে আবাসিক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী এই ধরনের এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা বসানোর অনুমতি দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে, আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা নিয়ম ভেঙে এই অনুমোদন দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোল্ড রিফাইনারীর মতো কারখানা বসানোর ফলে বায়ু ও শব্দ দূষণ এবং রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হবে। অনেক বাসিন্দা ইতোমধ্যেই রাজউক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে তাদের অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, কারখানার দূষণ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ত্বকের রোগের ঝুঁকি বাড়াবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এই অনুমোদন আদায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সহযোগিতায় আশরাফুল ইসলামসহ রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজউকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, “এই অনুমোদন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এলাকাবাসী এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন এবং তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। বসুন্ধরার বাসিন্দারা ইতোমধ্যে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের কারখানা স্থাপন জনস্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হাঁপানি এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বাড়বে।

এই ঘটনার পর সারা দেশের আবাসিক এলাকা পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যদি এলাকাবাসীর অভিযোগ ও উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হবে।

বসুন্ধরা এলাকায় শিল্প কারখানার অনুমোদন এবং আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজউকের পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানার অনুমোদন নিয়ে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই অনুমোদনকে ঘিরে জনমনে তীব্র উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সহায়তায় এবং রাজউকের নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে অবৈধ উপায়ে বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারী নামে একটি কারখানার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণভাবে আবাসিক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী এই ধরনের এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা বসানোর অনুমতি দেওয়া সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে, আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা নিয়ম ভেঙে এই অনুমোদন দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোল্ড রিফাইনারীর মতো কারখানা বসানোর ফলে বায়ু ও শব্দ দূষণ এবং রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহারে স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হবে। অনেক বাসিন্দা ইতোমধ্যেই রাজউক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে তাদের অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, কারখানার দূষণ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ত্বকের রোগের ঝুঁকি বাড়াবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এই অনুমোদন আদায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সহযোগিতায় আশরাফুল ইসলামসহ রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজউকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, “এই অনুমোদন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এলাকাবাসী এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন এবং তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। বসুন্ধরার বাসিন্দারা ইতোমধ্যে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই ধরনের কারখানা স্থাপন জনস্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হাঁপানি এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বাড়বে।

এই ঘটনার পর সারা দেশের আবাসিক এলাকা পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যদি এলাকাবাসীর অভিযোগ ও উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হবে।

বসুন্ধরা এলাকায় শিল্প কারখানার অনুমোদন এবং আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।