ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে তারেক রহমান-ফখরুলের শোক সৌদির ওপর দিয়ে দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল, মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হাফেজ মোঃ মইনুদ্দিন Jubo Dal leader Liton leads Jubo Dal protest march in Patuakhali দুর্ঘটনায় আহতদের পাশে ঢাবি ছাত্রদল বিচার ব্যবস্থাকে দৌড়গোড়ায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: ডা. তাহের জামিনে বের হওয়ার ৪ মাস পর ফের গ্রেফতার ‘টুন্ডা বাবু’ শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

কলাপাড়ায় বাগান সৃজনের লক্ষ্যে গোল চাষীর মাঝে গোল গাছের বীজ বিতরণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ ১০০ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের ৩০ জন গোলচাষীর মাঝে পাঁচ হাজার বীজ বিতরণ করা হয়। 

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, রহমতপুর উপকেন্দ্র বরিশাল আয়োজনে কলাপাড়া কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগীতায় পতিত জমির ব্যবহার ও ভূমি ক্ষয় রোধ করে গুড় উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য বাগান সৃজনের লক্ষ্যে গোলপাতার বীজ বিতরণ ও চারা রোপন কর্মসূচী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল রহমতপুর উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গনপতি, কলাপাড়া কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কর্মকর্তা মো ওয়ালিউল্লাহ, কৃষক উত্তম কুমার সরকার, শিক্ষক দিলীপ কুমার শিকারী, সাংবাদিক মো. শরিফুল হক শাহীন প্রমুখ।

বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল রহমতপুর উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গনপতি বলেন, বাংলায় গোলপাতা, ইংরেজিতে নিপা পাম। পাম জাতীয় উদ্ভিদ প্রজাতী, ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ।  অজস্র শিকড়যুক্ত খাটো কান্ডের এই গাছ। বাংলাদেশের মানুষের কোনরূপ প্রচেষ্টা ছাড়াই সুন্দরবনে প্রকৃতিকভাবেই গোলপাতা গাছের জন্ম হয়।  উপকূলে বসবাসকারী লোকেরা গৃহস্থালির কাজের জন্য ক্ষেত জমিতেও কিছুটা গোলপাতা চাষ করেন। শুধু ঘরের ছাউনি এবং জ্বালানি হিসেবে গোল পাতা ব্যবহার করে এবং স্থানীয় কিছু লোক এর রস সংগ্রহ করে পান করে এবং গুড় তৈরি করছে। 

গোলপাতা গাছের ফল গুচ্ছাকারের এবং বেশ বড়, অনেকটা তালের শাঁষের মতো। কচি তালের শাঁষের মতোই এ ফল কচি অবস্থায় কেটে খাওয়া হয়। ফলের ডগা কেটে পাত্র বেধে রেখে গোলের রস সংগ্রহ করা হয়। এই রস আখ, তাল কিংবা খেজুর গাছের রসের ন্যায় মিষ্টি এবং সুস্বাদু। যা সরাসরি পান করা যায়। গোলের রসের গুড়ের তৈরি পাটালি, মিষ্টি, পিঠে ও পায়েস খুব সুস্বাদু। এই রস গরম লুচি, রুটি দিয়ে বা মুড়ি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গোল গাছের মিষ্টি রস খেলে কৃমি নাশ হয়। ডিহাইড্রেশন দূর করে এবং গোল রস অসুস্থ্য শরীরে দ্রুত শক্তি আনতে সহায়তা করে। গোলের রস থেকে উন্নত মানের গুড় এবং চিনি তৈরি করা যায়। গোলের রস থেকে উন্নত ভিনেগার প্রস্তুত করা যায়। গোল গাছের ফল প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত। বিশেষত চর্মরোগের সকল পর্যায় নিরাময়ে সাহায্য করে এই গোলপাতার ফল।
এছাড়া গোল গাছের রস দিয়েও চর্মরোগের ঔষধ তৈরি করা হয়।

গোল গাছের শিকর পুঁড়িয়ে দাঁতের মাজন ও কচিপাতা থেকে দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরি করা হয়। গোল গাছ উপকূলবর্তী  এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিরাট ভূমিকা পালন করে। এ কারনে গাছটি বিস্তারে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কলাপাড়ায় বাগান সৃজনের লক্ষ্যে গোল চাষীর মাঝে গোল গাছের বীজ বিতরণ

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের ৩০ জন গোলচাষীর মাঝে পাঁচ হাজার বীজ বিতরণ করা হয়। 

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, রহমতপুর উপকেন্দ্র বরিশাল আয়োজনে কলাপাড়া কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সহযোগীতায় পতিত জমির ব্যবহার ও ভূমি ক্ষয় রোধ করে গুড় উৎপাদন ত্বরান্বিত করার জন্য বাগান সৃজনের লক্ষ্যে গোলপাতার বীজ বিতরণ ও চারা রোপন কর্মসূচী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল রহমতপুর উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গনপতি, কলাপাড়া কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কর্মকর্তা মো ওয়ালিউল্লাহ, কৃষক উত্তম কুমার সরকার, শিক্ষক দিলীপ কুমার শিকারী, সাংবাদিক মো. শরিফুল হক শাহীন প্রমুখ।

বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল রহমতপুর উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রতন কুমার গনপতি বলেন, বাংলায় গোলপাতা, ইংরেজিতে নিপা পাম। পাম জাতীয় উদ্ভিদ প্রজাতী, ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ।  অজস্র শিকড়যুক্ত খাটো কান্ডের এই গাছ। বাংলাদেশের মানুষের কোনরূপ প্রচেষ্টা ছাড়াই সুন্দরবনে প্রকৃতিকভাবেই গোলপাতা গাছের জন্ম হয়।  উপকূলে বসবাসকারী লোকেরা গৃহস্থালির কাজের জন্য ক্ষেত জমিতেও কিছুটা গোলপাতা চাষ করেন। শুধু ঘরের ছাউনি এবং জ্বালানি হিসেবে গোল পাতা ব্যবহার করে এবং স্থানীয় কিছু লোক এর রস সংগ্রহ করে পান করে এবং গুড় তৈরি করছে। 

গোলপাতা গাছের ফল গুচ্ছাকারের এবং বেশ বড়, অনেকটা তালের শাঁষের মতো। কচি তালের শাঁষের মতোই এ ফল কচি অবস্থায় কেটে খাওয়া হয়। ফলের ডগা কেটে পাত্র বেধে রেখে গোলের রস সংগ্রহ করা হয়। এই রস আখ, তাল কিংবা খেজুর গাছের রসের ন্যায় মিষ্টি এবং সুস্বাদু। যা সরাসরি পান করা যায়। গোলের রসের গুড়ের তৈরি পাটালি, মিষ্টি, পিঠে ও পায়েস খুব সুস্বাদু। এই রস গরম লুচি, রুটি দিয়ে বা মুড়ি দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, গোল গাছের মিষ্টি রস খেলে কৃমি নাশ হয়। ডিহাইড্রেশন দূর করে এবং গোল রস অসুস্থ্য শরীরে দ্রুত শক্তি আনতে সহায়তা করে। গোলের রস থেকে উন্নত মানের গুড় এবং চিনি তৈরি করা যায়। গোলের রস থেকে উন্নত ভিনেগার প্রস্তুত করা যায়। গোল গাছের ফল প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত। বিশেষত চর্মরোগের সকল পর্যায় নিরাময়ে সাহায্য করে এই গোলপাতার ফল।
এছাড়া গোল গাছের রস দিয়েও চর্মরোগের ঔষধ তৈরি করা হয়।

গোল গাছের শিকর পুঁড়িয়ে দাঁতের মাজন ও কচিপাতা থেকে দাঁতের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরি করা হয়। গোল গাছ উপকূলবর্তী  এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিরাট ভূমিকা পালন করে। এ কারনে গাছটি বিস্তারে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।